অনলাইন ডেক্স ॥ সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। তার আশঙ্কা, এই আইন বাক স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করবে। এতে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা তার। গতকাল রবিবার দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন দূত।
বিবৃতিতে বার্নিকাট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করে যে সম্প্রতি পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাক স্বাধীনতার ক্ষুন্ন এবং অপরাধযোগ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, যা সর্বোপরি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে পাস হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। অনলাইনে অপরাধ দমনে এই আইনটি করা হয়েছে। তবে এই আইনের কিছু বিধান অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন জ্যেষ্ঠ গণমাধ্যমকর্মীরা। আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর থেকেই আইনমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেন দরবার করেছেন গণমাধ্যমকর্মী ও সম্পাদকরা। সরকারও সে সময় আশ্বাস দিয়েছে, সবার উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়েই আইনটি পাস হবে। আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়ার পর বিদেশি রাষ্ট্রদূতরাও বেশ কিছু ধারার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। আইনমন্ত্রী তাদেরকেও আশ্বাস দিয়েছিলেন।
তবে আইনটি পাসের পরও গণমাধ্যমকর্মীরা উদ্বেগ জানাচ্ছেন। এ নিয়ে সম্পাদক পরিষদ ২৯ সেপ্টেম্বর মানববন্ধনও ডেকেছিল। তবে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পাদকদেরকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পর সে কর্মসূচি স্থগিত করে। বার্নিকাট বলেন, ‘এ আইনের পরিবর্তন বিবেচনা করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি, যাতে এটি সংবিধান এবং মানবিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।’ বিবৃতিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের আলোচনার আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছেন।
Leave a Reply